দীর্ঘদিন পর সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে জেগেছে প্রাণের সাড়া। কর্মচাঞ্চল্যে আবার মুখর হয়ে উঠেছে গোটা বন্দর এলাকা।
দীর্ঘ প্রায় ৩ মাস পর শনিবার (২০ জুন) বিকাল থেকে শুরু হয়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। তবে আপাতত তা সীমিত পরিসরে। এর ফলে বেকার হয়ে পড়া বন্দর ব্যবহারকারীদের মাঝে বইছে উৎসবের আমেজ। করোনা পরিস্খিতিতে উপার্জনহীন হয়ে পড়া বন্দর সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোতে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এর আগে গত ২৪ মার্চ থেকে মহামারী করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ভারত ও বাংলাদেশের লকডাউনের কারণে বন্ধ হয়ে যায় এ বন্দর দিয়ে সকল প্রকার আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম ।
শনিবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব আরাফাত হোসেন জানান, দু’ দেশের লকডাউনের কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে এ বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর গত ১ জুন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসনসহ কাস্টমস্ ও বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সিএন্ডএফ কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনায় বসেন। বৈঠকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ২ জুন থেকে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্বান্ত নেয়া হয়। এ মর্মে ভারতীয় ঘোজা সিএন্ডএফ এজেন্ট কার্গো ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনকে বন্দরের কার্যক্রম চালুর জন্য লিখিত ভাবে চিঠিও পাঠানো হয়। কিন্তু সে দেশের (ভারতীয়দের) কিছু আভ্যন্তরীন জটিলতার কারণে এতদিন আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। অবশেষে তাদের জটিলতা নিরসন শেষে দীর্ঘ ২ মাস ২৬ দিন পর শনিবার বিকালে ঘোজা জিরো পয়েন্ট থেকে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সে দেশের বসিরহাটের এমএলএ দীপবিন্দু বিশ্বাসসহ সরকারি কর্মকর্তারা।
আরাফাত হোসেন জানান, এ সময় ভোমরা স্থলবন্দর সীমান্ত জিরো পয়েন্টে উপস্থিত থেকে তাদেরকে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোশিয়েশনের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।
তিনি জানান, তবে শুরুতে সীমিত পরিসরে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে।
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিমও বন্দর ব্যবহারকারী শ্রমিক কর্মচারীসহ ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানান।